ধরুন, রনি ও জনি দুই ঘনিষ্ট বন্ধু। তারা এক দৌড় প্রতিযোগীতায় অংশ নিল। দেখা গেল রনি বন্ধুটি প্রথম হল আর জনি কিছুই হল না। এখন যেহেতু রনি প্রথম হয়েছে, জয়ী হয়েছে সুতরাং তার মাঝে জয়ের সুখ বিরাজ করাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু জনির মনের অবস্থা দুই রকম হতে পারে।
১) নেতিবাচক :- চিরাচরিত খারাপ, দুঃখের কষ্টের,হতাশার ব্যার্থতার।
২) ইতিবাচক :- জনি ভাবতে পারে, যা হয়েছে ভালোই হয়েছে, আসলে রনির মানসিক শারীরিক, পারিবারিক, সামাজিক অবস্থা আমার মত না। ও যদি হেরে যেত তাহলে দ্বিতীয়বার হয়ত প্রতিযোগিতায় অংশ নিত না। কিন্তু আমি ত ওর চেয়েও অনেক বেশি সাহসী, আমার সাথে আমার পরিবারের ভালোবাসার,বন্ধুদের সহযোগীতা আছে, আমি এর পরেরবার অংশ নিব এবং ফাষ্চর্ট হব আর যদি নাও হই তাহলেও কোন সমস্যা নাই। আমি জীবনের দৌড়ে ওর চেয়ে এগিয়েই থাকব। রনিকে জেতার সুযোগ করে দিয়ে আসলে আমিই জিতেছি।
দ্বিতীয় দৃষ্টিভঙ্গি কি চমৎকার বিজয়ী মনোভাব প্রকাশ করেনা ?
প্রেম বা ভালোবাসার ক্ষেত্রেও এ দ্বিতীয় দৃষ্টিভঙ্গি খুব কাজে দেয়।
ধরুন, আপনার ভালোবাসার মানুষটি ‘‘Mr.x” আপনাকে ধোঁকা দিয়ে বা যে কোন করানেই হোক ছেড়ে চলে গেছে। তাহলেও আপনার দৃষ্টিভঙ্গি দৃই রকমের হতে পারে।
১) নেতিবাচক :- প্রচন্ড দুঃখে ভেঙ্গে পড়তে পারেন, দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে ইত্যাদি।
২) ইতিবাচক :- আপনি ভাবতে পারেন, যা হয়েছে, ভালোই হয়েছে, ‘‘Mr.x” কে বিয়ে করার পর যদি সে আমাকে ছেড়ে চলে যেতে তাহলে তো আরও খারাপ হত ‘‘Mr.x” আসলে আপনার মত মানুষের ভাে লাবাসার যোগ্য ব্যক্তি ছিল না। সে আপনার অনেক রকমের ক্ষতি কারতে পারত। সুযোগ নিতে পারত, মহান সৃষ্টিকর্তা আপনাকে রক্ষা করেছেন ‘‘Mr.x” কে দেয়ার মত অনেক ভালোবাসা আপনার মাঝে ছিল, কিন্তু ‘‘Mr.x” অবুঝ মুর্খ অজ্ঞ সে তা না নিয়েই চলে গেছে। যা হারিয়েছে ‘‘Mr.x” হারিয়েছে, আপনি হারবনি। আপনার সবকিছু আপনার কাছেই আছে। ভালোবাসা সময়ের মত না যা চলে গেলে আর আসে না এটা সব সময় আমাদের মনে থাকে অনন্তকাল, চিরন্তন। সুতরাং ‘‘Mr.x” হেরে গেছে তাই চলে গেছে আর আপনি বিজয়ী। আপনি যতক্ষন পযন্ত কষ্টকে গ্রহণ না করছেন ততক্ষন পর্যন্ত আপনাকে কষ্টে ফেলতে পারবেনা।
একটা মাত্র জীবনে কতবার হারবেন ? আমরা বিজয়ী হবার জন্যই জন্মেছি হয়ত কেউ আগে হয় বা কেউ পরে।